বার বার মেঘ হয়ে মুখ ভার করিস রোদ ঢেকে,
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে কিসের দ্বিধা রে তোর ?
অস্ফুট গর্জনে বিদীর্ণ বুকের বিদ্যুৎ আড়াল করিস
একটা কালবৈশাখী হতে এত সময় নিস কেন ?
জানি কিছুটা তোর ভালবাসা আর কিছুটা অভ্যাসের
ফিউশন, কিছুটা রাত জেগে বলা কথা আর কিছুটা
ভীষণ চেনা ঘামের গন্ধ, কিছুটা তোর হঠাৎ চেতন
শরীরের প্রতিবর্ত পসেসিভ মন, কিছুটা স্মৃতির প্রেত ।
নীরা, তোর ভয়গুলোকে চিনি, জানি প্রতিটা কৃষ্ণচূড়া
বিছানো রাস্তায় তোকে তাড়া করে ক্রনিক আঘাতেরা,
তোর নিজের সঙ্গে দ্বন্দগুলোকে বুঝি, সূর্যের মন্থনের
স্বাদের নেশায় এখনও আচ্ছন্ন তোর সমস্ত শরীর, সত্ত্বা
আবার বৃষ্টি হয়ে ঝরে, নদী হয়ে বয়ে সঙ্গম হয়ে সাগরে
মিশে যেতে, হারিয়ে যেতে বড্ড ভয় তোর; তোর যন্ত্রণা
আর অবচেতনের অধিকার হারানোর আক্রোশদের যত্নে
লালন করিস, একাকিত্বে ঝাঁঝালো মদের বিষাক্ত আস্বাদে
তবু বলি, আজ আর পালিয়ে যাস না দায়সারা অজুহাতে,
স্মৃতির চোখে চোখ রাখ আর, শুকনো ঝরা পাতা গুলো
প্রবল ঘূর্ণিতে উড়িয়ে একটা সাইক্লোন বা আকাশ ভাঙা
বৃষ্টি হয়ে অবিশ্রান্ত ঝরে পড় শুষে নেওয়া রুক্ষ মাটিতে …